মনে হয় এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি, হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে এলাকা খালি করে দাও যাতে আগামী দিনে কোনো হিন্দু ভোট না দিতে পারে : দিলীপ ঘোষ।

কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা:-
আজ সংখ্যালঘুদের সঙ্গে মমতার বৈঠক

পিঠ চাপড়ে শাবাসি দেওয়ার জন্য বৈঠকে ডেকেছেন। যা কিছু হচ্ছে মমতার ইচ্ছায় এবং উৎসাহে হচ্ছে। উনি ঈদের দিন বার্তা দিয়ে দিয়েছিলেন যা খুশি করো আমি দেখে নেব। মালদহ জেলার পল্লালপুরে স্কুলে এতগুলো লোক আশ্রয় নিয়েছে। মমতা ব্যানার্জির কোনো লোক তাদের কথা শুনতে গেছেন? একই রাজ্যের একটি জায়গা থেকে লোক পালিয়ে আরেকটি জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আর মমতা মুসলিমদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য ডেকেছেন। শরবত খাওয়ানো হবে। উনি বলবেন ঠিক আছে। চালিয়ে যাও। ওরা আগেই ঘোষণা করেছে ওরা ৪০ দিন ধরে চালিয়ে যাবে। জানিনা। মমতার যদি এটাই ইচ্ছা হয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ভাবতে হবে তারা কিভাবে বাঁচবে?

এর পিছনে কি বিদেশি শক্তির মদত আছে?

আমরা বারবার বলছি বাংলাদেশে যা ঘটেছে এখানে তার ট্রেলার চলছে। সেম। একই টাইপের। হিন্দু বসতি এলাকা ঘিরে নিয়ে অত্যাচার চলেছে। অবিকল বাংলাদেশ মডেল। এটা এক্সটেন্ডেড বাংলাদেশ হয়ে গেছে। মমতার পুলিশ চুপচাপ দেখছে অথবা আগেই পালিয়ে গেছে। আমাদের কাছে বারবার হিন্দুদের ফোন এসেছে। বলা হয়েছে বিএসএফ পাঠান। ভোর থেকে শুরু হয়েছিল। সকালে যখন বিএসএফ ঢোকে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। দাঁড়িয়ে দর্শক হিসেবে পুলিশ দেখেছে। আমার মনে হয় এটাই ওদের স্ট্র্যাটেজি। হিন্দুদের ভয় দেখিয়ে এলাকা খালি করে দাও যাতে আগামী দিনে কোনো হিন্দু ভোট না দিতে পারে।

জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার

উনি তো জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন। ওটা লিজ দিয়ে দিন। কিছু টাকাপয়সা ঘরে আসবে। সবই ওনার রাজনীতির হিসেব। ওটা হয়তো এরপর মমতা মন্দির নাম হবে। যেমন বিড়লা মন্দির আছে। ওখানে ওনারই একটা মূর্তি বসিয়ে দিন। ওনারই পুজো হোক।

রাজ্যে চাই আদিত্যনাথ। মন্তব্য সাধ্বী প্রজ্ঞার।

মানুষ নিরুপায় হয়ে এরকম অনেক কিছু বলে। আমরা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। দেশে একটা সংবিধান আছে। সেটা কেউ মানে। কেউ মানে না। যা পরিবর্তন হবে সেটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় করতে হবে। যোগী আদিত্যনাথ আকাশ থেকে পড়েন নি। উত্তর প্রদেশের মানুষের মনে হয়েছে শক্ত প্রশাসক দরকার। ওখানে একসময় যারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তারা এখন এনকাউন্টারের শিকার। বাংলার সমাজ এখন বুঝতে পেরেছে। প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ঠিক করতে হবে এটা বাংলাদেশের মতো হবে নাকি ভারতের সংবিধান অনুযায়ী চলবে। নেতা লড়াই করতে করতে উঠে আসবে। মানুষ নেতা ঠিক করবে।

মালদহের স্কুলে মিডিয়া ঢুকতে বাধা

হাজার লোক ঘর ছাড়া। সত্যি ঘটনা কি সেটা জানতে হলে ওদের কথা শুনতে হবে। মিডিয়া আটকানো হচ্ছে মানে মিডিয়ার স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ। যে পীড়িত মানুষ তাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তার মানে সত্যকে লুকোনোর চেষ্টা চলছে। সরকার বলছে ফিরে যাও। তারা বলছে ফিরব না। মানে তাদের কোনো সুরক্ষা নেই। পুলিশের ওপর ভরসা নেই। বিএসএফ এর কাজ সীমান্ত সুরক্ষা দেওয়া। যেহেতু তাদের ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়েছে তাই তারা এসে বাঁচিয়েছেন। নাহলে আরো বেশি লোক উদ্বাস্তু হতো। মমতা ব্যানার্জি যতই ব্যাপারটা চোখের আড়ালে রাখার চেষ্টা করুন, বেশিদিন করতে পারবেন না।

ধুলিয়ানের ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ

হঠাৎ করে হাজার হাজার লোক আসতে পারেনা। পুলিশের কাছে খবর ছিল না? আসলে কেউ জানতে চায়না। হতে দিয়েছে। উনি (মুখ্যমন্ত্রী) চোখ দেখে মাওবাদী চিনতে পারেন, পার্টির মধ্যে কে খাচ্ছে ঘুমাচ্ছে জানতে পারেন। আর রাজ্যে এতবড় ঘটনার খবর নেই? সব খবর আছে। সব জেনে উনি করাচ্ছেন। তারপর বাহবা দেওয়ার জন্য নেতাদের আজ ডেকেছেন। এই ধরনের ঘটনা আগেও হয়েছে পরেও হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *