মমতার হাত ধরে দীর্ঘ বছর পর পাকা ঘরে থাকার স্বাদ পুরন হওয়ায় খুশিতে আপ্লুত এক পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবার।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বাম আমলের দীর্ঘ বঞ্চনা! মমতার বাংলা আবাসে ঘর পেল বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য, আনন্দে আপ্লুত পরিবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজিপুর সংসদের। এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য পিঙ্কি মুরারির বাবা অমল মুরারির নামেই এসেছে সরকারী ওই আবাস যোজনার ঘরটি। মমতার হাত ধরে দীর্ঘ বছর পর পাকা ঘরে থাকার স্বাদ পুরন হওয়ায় খুশিতে আপ্লুত ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবার। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘ আটবছরেরও বেশি সময় ধরে বামেদের বঞ্চনার শিকার হয়ে এসেছেন তারা। দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করেও আবাসের ঘর মেলেনি তাদের। শুধু তাই নয়, তাদের আরো অভিযোগ ঘর নেবার জন্য ততকালীন আর এসপির তরফে ১৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। যে টাকা না দিতে পারায় ঘর দেওয়া হয়নি তাদের। অবশেষে তৃণমূলের হাত ধরে পাকা ঘরে থাকার স্বাদ পুরন হতে চলেছে তাদের।
তৃণমূল পরিচালিত ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হাজিপুর সংসদটিতে প্রায় নয়শো জন ভোটার রয়েছে। যেখান থেকেই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় দুশো ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী পিঙ্কি মুরারি। পিঙ্কির বাবা অমল মুরারি ইটভাটার শ্রমিক, আর্থিক সংকটাপন্ন পরিবারে পরিবারের হাল ধরতে ছোট ভাইকেও কাজের সন্ধানে ছুটতে হয়েছে ভিন রাজ্যে। ছোট্ট একটি টিনের চালার ঘরেই সংসার তাদের। অভাব রোজকার নিত্যসঙ্গী ওই পরিবারের প্রায় সকলেই চেষ্টা করেন কিছু উপার্জন করবার। দুস্থ ওই পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল সরকারি একটি পাকা ঘরে মাথা গোজার ঠাই। বহুবার আবেদনও করে এসেছিলেন কিন্তু বারংবার হতাশ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, সরকারি ঘর পেতে গেলে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিতে হবে, এমনটাও শুনে এসেছেন ওই পরিবার। আর যে কারনে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবার। কিন্তু অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত হাজিপুর সংসদের বাংলা আবাসের তালিকায় এক নম্বরে স্থান করে নিয়েছে হতদরিদ্র ওই পরিবারটি। দীর্ঘ বঞ্চনার পর অবশেষে সরকারী ঘর মেলায় খুশিতে আপ্লুত হয়েছেন পরিবারটি। একইসাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের।
পিঙ্কির বাবা অমল মুরারি বলেন, সরকারী ঘর নেওয়ার জন্য আর এসপির নেতারা ১৫ হাজার টাকা চেয়েছিল। তা না দিতে পারার জন্য ঘর পাননি এতদিনে।
পিঙ্কি মুরারি বলেন, তিনি বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হলেও বাংলা আবাস যোজনায় তাকে ঘর পাইয়ে দিতে সুবিধা করেছে তৃণমূল নেতৃত্বরা।
ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক চৌধুরী বলেন, বাংলা আবাস যোজনায় হোক আর যেকোন সরকারী সুযোগ সুবিধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দলমত নির্বিশেষে সকলেই সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। এই ঘটনায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ।