ফুলের দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ফুল চাষিরা।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পাইকারি বাজারে ফুলের দাম নেই। আর ফুলের দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ফুল চাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া কোলাঘাট শহীদ মাতঙ্গিনী সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুলের চাষ হয়। সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয়। শীতের সময় মরশুমি ফুলের পাশাপাশি, গাঁদা, দোপাটি বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ সারা বছরই হয়ে থাকে। এই ফুল ফুল চাষে রুটি রোজগারের মাধ্যম। কিন্তু সেই ফুলের দাম না থাকায় চিন্তায় ঘুম উড়েছে ফুল চাষিদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট অন্যতম ফুলের বাজার এর পাশাপাশি পাঁশকুড়া ও দেউলিয়া এলাকায় ফুলের বাজার বসে। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত চলে এইসব পাইকারি বাজারে ফুলের কেনা বেচা। বর্তমানে পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বহু ফুল চাষিরা গাঁদা ফুলের চাষ করেছে। কিন্তু সেই ফুল বাজারে এনে বিক্রি না করে ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ফুল চাষিরা। কারণ বাজারে ফুলের দাম নেই। তাই বাজারে রাস্তার পাশে ফুল ফেলে দিচ্ছে কৃষকেরা। বর্তমানে গাঁদা ফুল কোথাও ৫ টাকা কোথাও ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গাঁদা ফুল। আর তাতেই ক্ষতি মুখ দেখছে কৃষকেরা। এই বিষয়ে পাঁশকুড়ার এক ফুল চাষি তরণী রায় জানান, নদী বাঁধ ভেঙে বন্যার কারণে পাঁশকুড়ায় এবার ফুল চাষ দেরিতে হয়েছে। ফলে দেরিতেই ফুল ফুটছে। বর্তমানে গাঁদা সহ বিভিন্ন ফুলের দাম বাজারে একদম তলানিতে ঠেকেছে। ফলে ফুল বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই ফুল ফেলে দিতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে ফুল তুলে নেওয়ার পর ফুলকে রাখা যায় না। এই পরিস্থিতি চললে ফুল চাষ করে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে।দেউলিয়া ফুল বাজারে প্রতিদিন সকালে একই ছবি। গাঁদা ফুল নিয়ে এসে বাজারে জড়ো হলেও কৃষকেরা দাম না পাওয়ায় তা ফেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে ফুল চাষি সমন্বয়ে কমিটির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক জানান,’একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্রান্তে ক্ষুদ্র ফুল চাষিরা ফুলের দাম না পাওয়ায় বিপদে পড়েছেন। অন্যদিকে হিমঘর না থাকায় ফুল মজুত করতে পারছে না কৃষকেরা। সব মিলিয়ে ফুল ফুটিয়ে ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে ফুল চাষিদের।’ বর্তমানে ফুলের বাজারের পরিস্থিতি কবে কাটবে সেই দিকে তাকিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার ফুল চাষিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *